নিউইয়র্ক: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি সদস্য পদ চেয়ে ফিলিস্তিনের করা আবেদন পত্রটি বুধবার জাতিসংঘের মেম্বারশিপ কমিটিতে পাঠিয়েছেন। কোন দেশকে সদস্য পদ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে এই কমিটি।
পূর্ণ সদস্য পদ চেয়ে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের জাতিসংঘে আবেদন করার এক সপ্তাহ পর নিরাপত্তা পরিষদ এই সিদ্ধান্ত নিল। গত শনিবার আব্বাস আবেদন পত্রটি হস্তান্তর করেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের কাছে। পরে তিনি তা ১৫ সদস্য বিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদে পাঠান।
নতুন সদস্য পদ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে গঠিত ওই কমিটি ফিলিস্তিনের আবেদনটি বিবেচনা করতে আগামী শুক্রবার বৈঠকে বসবে।
জাতিসংঘের সদস্য পদ পাওয়ার যেকোন আবেদন বিবেচনা করে নিরাপত্তা পরিষদ। এরাই সিদ্ধান্ত নেয় আবেদনটি ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে পাঠানোর সুপারিশ করা যাবে কি না। এর পর সদস্য পদ প্রাপ্তির ব্যাপারে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করতে হয়।
১৯৪৭ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে গৃহীত প্রস্তাব-১৮১ এর ভিত্তিতে গত শনিবার ফিলিস্তিন জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্য পদের জন্য আবেদন করেছে।
প্রস্তাব-১৮১ অনুযায়ী ফিলিস্তিনকে আরব ও ইহুদি নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্রে ভাগ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকেই ফিলিস্তিনের এই উদ্যোগের বিরোধীতা করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদে এ প্রস্তাব তোলা হলে তারা ভেটো দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১১