সংস্থাটি বলছে, খাদ্য ছাড়াও শিশুদের জন্য জরুরি মাথা গোঁজার ঠাঁই এবং স্বাস্থ্যসেবা। তবে এতো বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর জন্য পর্যাপ্ত কোনো সেবারই ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।
সেভ দ্য চিলড্রেনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্ক পিয়ার্স রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনেক মানুষ ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত। তাদের পর্যাপ্ত খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানীয় জল নেই। চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না বলেই আমি মূলত চিন্তিত।
এছাড়া তিনি রোহিঙ্গা শিশুদের শোষণ ও অপব্যবহার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনে জোর দেন। বলেন, তারা যেন পাচারের শিকার না হয়, সে বিষয়েও নজর রাখতে হবে।
এদিকে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য বাংলাদেশ সরকার হাম ও পোলিওর টিকার ব্যবস্থা করেছে। রোববার কক্সবাজারে প্রথম দিনের কর্মসূচিতে আট হাজার ৭০৩ শিশুকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পোলিও টিকা নিয়েছে চার হাজার ৯৮৩। জেলার সিভিল সার্জন আবদুস সালাম এই তথ্য সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন মোট সাতদিনের এই কর্মসূচিতে অন্তত এক লাখ ২০ হাজার শিশুকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) বলছে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী অনুপ্রবেশের সংখ্যা চার লাখ নয় হাজার। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে।
নয় হাজার রোহিঙ্গা শিশুর হাম-পোলিও টিকা
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
আইএ