অটোয়া: ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করতে সক্ষম না হলে কানাডাকে বছরে ২১ থেকে ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করতে হবে সে দেশের একটি গবেষণা রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফেডারেল অ্যাডভাইসরি প্যানেলের গ্রাউন্ড ব্রেকিং অ্যাসেসমেন্টের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে সে দেশের ভ্যানকুভার সান পত্রিকাটি।
‘মূল্য পরিশোধ: জলবায়ু পরিবর্তনে কানাডার অর্থনীতি’ শীর্ষক এক গবেষণায় জলবায়ু পরিবর্তন বিজ্ঞানের বিষয়টি মাথায় রেখে কানাডায় গ্রিানহাউস গ্যাস নির্গমন বৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
এ গবেষণায় সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে, যদি কানাডার সরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে এখন থেকেই ব্যবস্থা না নেয় তবে সেদেশের খাদ্যের মূল্য অনেক বেড়ে যাবে।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন বিজ্ঞানের সঙ্গে মানুষের কার্যাবলী এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে গ্রিান হাউজ গ্যাস দূষণের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
এর ফলসরূপ কানাডার উপকূলীয় অনেক এলাকায় বন্যা হতে পারে যা মানুষের স্বাস্থ্য, বনায়ন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিরুপ প্রভাব ফেলবে।
সে দেশের ইনভায়ারনমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি নামের একটি সংস্থা জাতীয় গোলটেবিল বৈঠকে এ রিপোর্ট বা গবেষণা কর্মটি উত্থাপন করে।
রিপোর্টে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ রিপোর্টে যে ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে তা যদি উপেক্ষা করা হয় তবে ভবিষ্যতে এর চেয়েও বেশি মূল্য দিতে হতে পারে।
রিপোর্টে জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতিতে উপকূলবর্তী এলাকায় উন্নয়ন, অবকাঠামো এবং বনায়নে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
কানাডার সরকার ১০ থেকে ১৫ বছরে গ্রিানহাউজ গ্যাস নির্গমন কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও দেশটি গ্রিান হাউস গ্যাস নির্গমণ এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধে কোনো ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কানাডার সরকার অর্থনীতি উন্নয়ন এবং বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে প্রতিবছরে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি পাঁচ বিলিয়ন ডলারে পোঁছাতে পারে। যা কানাডার মোট অর্থনীতির এক শতাংশ।
রিপোর্টে বেশ কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। সেগুলো হলো,
১. জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অসুস্থতা এবং মৃত্যু ঝুঁকি বাড়তে পারে। যার জন্য মন্ট্রিল, ভ্যানকুভার এবং টরেন্টোতে সাস্থ্যখাতে মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে।
২. বনাঞ্চল দাহ, কীটপতঙ্গের অত্যাচার এবং গাছের উৎপাদনে জনবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বিশেষ করে পশ্চিম কানাডায়।
রিপোর্টে কানাডা সরকারকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অ্যাকাডেমিক গবেষণা বৃদ্ধি এবং অন্যান্য প্রচেষ্টা জোরদার করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১১