জাপানে অবস্থানরত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিউল সফরে যাওয়ার আগের দিন সোমবার (৬ নভেম্বর) এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানায়, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে সন্দেহে চীন, রাশিয়া ও লিবিয়ায় অবস্থানরত দেশটির ১৮ ব্যাংকারের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই ১৮ জন আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বিদেশে কর্মরত এই লোকজন উত্তর কোরিয়ার ব্যাংকগুলোর হয়ে তাদের গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির জন্য অর্থসরবরাহ করছে।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা চললেও চলতি বছরের মে মাসে প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নেওয়া মুন জে-ইন বরাবরই সংলাপ এবং শান্তির কথা বলে আসছিলেন। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসী অবস্থানের জবাব দিতে অনাগ্রহ দেখানোয় তাকে ‘নিবৃত্ত মানসিকতা’র বলে অভিযুক্ত করে আসছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেই ট্রাম্পেরই সিউল পৌঁছানোর আগে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হলো।
এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি উত্তর কোরিয়া। তবে ট্রাম্পের হুমকি-ধামকির জবাবে তারা বলে আসছিল, আঘাত এলে পাল্টা জবাব দেবে পিয়ংইয়ং।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৭
এইচএ/