যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। সাক্ষাৎকারটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) প্রকাশ করা হয়।
সুন্নি অধ্যুষিত সৌদি আরব ও শিয়া অধ্যুষিত ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছে। তবে শিয়াপন্থি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতায় ধরে রাখা বা অপসারণ, লেবাননের রাষ্ট্র ক্ষমতা নিয়ে শিয়া-সুন্নি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ গত কয়েক মাসে আরও তীব্রতর হয়েছে এই বিরোধ।
সৌদির দাবি সম্প্রতি রিয়াদের আকাশে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র তেহরানের সরবরাহকৃত। আর ইরানের দাবি, সম্প্রতি লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরির রিয়াদ থেকে সম্প্রচারিত ভাষণে পদত্যাগ ঘোষণায় রিয়াদের ইন্ধনে হয়েছে। উভয়পক্ষই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এজন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে তীর্যক মন্তব্য করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীর নেতৃত্বাধীন এই ইসলামী প্রজাতন্ত্রের কথিত আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে হবে। আমরা ইউরোপের কাছ থেকে বুঝেছি, কেবল ‘প্রশমনে’ কাজ হবে না। আমরা চাই না ইউরোপে যেটা হয়েছে, তেমন কিছুর পুনরাবৃত্তি ঘটুক ইরানের নতুন হিটলারের হাতে। ’
বর্তমানে সৌদির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে থাকা মোহাম্মদ দাবি করেন, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে তেহরান শিয়াপন্থি হুথিদের রসদ যোগালেও সৌদির পক্ষেই যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি। ইয়েমেনের ৮৫ শতাংশ এলাকাই সৌদির নেতৃত্বাধীন আরব জোটের নিয়ন্ত্রণে।
সৌদির ভবিষ্যৎ বাদশাহ বলেন, ভবিষ্যতে যদি রিয়াদ ও তেহরানের মধ্যে কোনো সংগ্রাম হয়, তবে সৌদি নিশ্চিত করবে যেন ‘তার খেসারত ইরানকেই দিতে হয়’।
এই দ্বন্দ্বের মধ্যে সম্প্রতি খামেনী সৌদি রাজপরিবারের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘সৌদদের বাসভবন অভিশপ্ত বৃক্ষের মতো’। তার আগে ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেন, রিয়াদই মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৭
এইচএ/