ব্রিটেন, চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও সুদানসহ বিভিন্ন দেশে পণ্যটি রফতানি হয়। ফলে প্রত্যাহারের এ ঘটনা রফতানিকারকদেরকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথমদিকে দেশটির ছয় বছরের নিচে ২৬ জন শিশু দুধটি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
ল্যাকটেলিস্ বিশ্বের বৃহত্তম দুধ উৎপাদকদের একটি। কোম্পানির মুখপাত্র মাইকেল নালেট এএফপিকে বলেন, ‘উৎপাদিত প্রায় ৭ হাজার টন’ দুধ হয়তো দূষিত হয়ে থাকতে পারে। তবে বর্তমানে বাজারে কতো পরিমাণ দুধ রয়ে গেছে, তা বলতে পারছে না কোম্পানিটি’।
ল্যাকটেলিস্ বিশ্বাস করে যে, স্যালমোনেলা প্রাদুর্ভাবের একটি কেন্দ্র খুঁজে বের করা যাবে উত্তর-পশ্চিমে ফ্রান্সের ক্রেয়ন শহরে। সেখানকার কারখানাটিতে তরল দুধ শুকিয়ে পাউডারে রূপান্তরিত করা হয়।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সেখানে যেসব দুধ তৈরি করা হয়েছে, সেগুলোই প্রত্যাহার করে নিয়েছে ল্যাকটেলিস্। কোম্পানিটি বলেছে, কারখানার সব যন্ত্রপাতি জীবানুমুক্ত করতে সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে।
ডিসেম্বরের শুরুতে ফ্রান্সে ২০ শিশু অসুস্থ হলে স্বাস্থ্যভীতি দেখা দেওয়ায় সীমিতভাবে পণ্য প্রত্যাহারের আদেশ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু ল্যাকটেলিস্ কর্তৃপক্ষ দূষণের ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যবস্থা নিতে ‘পর্যাপ্ত সময়’ না পাওয়ার দাবি করেছে।
স্যালমোনেলা খামারের পশু থেকে ছড়ানো ব্যাকটেরিয়া, যার দূষণ প্রধানত অন্ত্রে ঘটে। এটি খাদ্যে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা ও বমি। এর প্রভাবে শরীরে ফোড়াও হতে পারে। ডায়াবেড্রেশন ঝুঁকির কারণে খুব অল্পবয়স্ক ও বয়স্কদের জন্য এ ধরনের অসুস্থতা বিপজ্জনক।
গুঁড়োদুধ পানে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। চীনা প্রস্তুতকারীরা তাদের শিশু গুঁড়োদুধে শিল্প রাসায়নিক মেলামাইন যোগ করার পর ২০০৮ সালে ছয় শিশু মারা যায় এবং বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩ লাখ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এএসআর