সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে উপমহাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দলটির সভাপতি হিসেবে রাহুলের নাম ঘোষণা করেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের প্রধান মুলাপালি রামচন্দ্রন। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৬ ডিসেম্বর এ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ৪৭ বছর বয়সী রাহুল গান্ধী।
আগে থেকেই জল্পনা-গুঞ্জন চলছিলো সোনিয়ার উত্তরসূরী হিসেবে তার পুত্র রাহুলই দায়িত্ব পাচ্ছেন কংগ্রেসের। এক্ষেত্রে বিদায়ী সভাপতি সোনিয়া থেকে শুরু করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, গুলাম নবী আজাদ, এ কে অ্যান্টনি, পি চিদাম্বরম, সুশীল কুমার সিন্ধে এবং আহমেদ প্যাটেল এর মত শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা রাহুলের পক্ষে সমর্থনের গান গাইছিলেন। এমনকি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) অমরিন্দার সিং কিছুদিন আগেও রাহুলের যোগ্যতার ব্যাপারে সংশয় পোষণ করলেও শেষে ‘যুবরাজ’কেই মেনে নেন ভবিষ্যত নেতা হিসেবে।
এরমধ্যে ১ ডিসেম্বর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের মনোনয়ন জমা শুরু হয়। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নেওয়া হয় সে মনোনয়ন। বিভিন্ন রাজ্যে ৯০টি আবেদনপত্র বিলি করা হয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। কিন্তু কেবল রাহুলের পক্ষেই ৮৯টি মনোনয়ন জমা পড়ে। এর মধ্যে একটির প্রথম প্রস্তাবক ছিলেন তার মা সোনিয়া গান্ধী এবং অপরটির প্রথম প্রস্তাবক ছিলেন সাবেক কংগ্রেস সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। শেষ পর্যন্ত আর কোনো প্রার্থীর আবেদন জমা না পড়ায় রাহুলের বিজয়ই নিশ্চিত হয়ে যায়।
দিল্লির বিখ্যাত ২৪ আকবর রোডে অবস্থিত কংগ্রেসের ঐতিহ্যবাহী প্রধান কার্যালয়ে দলটির প্রধান পদে নির্বাচিত নেতার নাম ঘোষণাকালে রামচন্দ্রন বলেন, প্রার্থী হিসেবে কেবল রাহুল গান্ধীর পক্ষেই ৮৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত তিনি ছাড়া আর কোনো আবেদন জমা না পড়ায় রাহুলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করা হচ্ছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবার ‘গান্ধী পরিবার’র সদস্য রাহুল। তার বাবা রাজীব গান্ধী, দাদি ইন্দিরা গান্ধী এবং দাদির বাবা জওহর লাল নেহরু— তিনজনই ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী।
নেতৃত্বভার নেওয়ার পর রাহুল খুবই ভালো করবেন বলে আশাবাদী দলের নেতাকর্মীরা। সেই প্রত্যাশায় আলো জ্বালছে গত বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন রাজ্যের স্থানীয় ও বিধানসভা নির্বাচনকেন্দ্রিক তার তৎপরতায়। রাহুলের এই নতুন দায়িত্ব ঘোষণায় আকবর রোডে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন রাজ্যের কার্যালয়ের সামনে আতশবাজি ও গানবাজনা করে উৎসব-উল্লাস করছেন নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭/আপডেট ১৭২৭ ঘণ্টা
এইচএ/
** ‘যুবরাজ’ এর সিংহাসন নিশ্চিত হচ্ছে আজই!