সরকারিভাবে দিন-তারিখ ঘোষণা না হলেও আগামী ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল ট্রাম্পের। ধনকুবের থেকে হোয়াইট হাউসের অধিকর্তা হয়ে ওঠা ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ব্রিটেন সফর হতো এটি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) টুইটারে ট্রাম্প তার ব্রিটেন সফর বাতিলের ঘোষণা দিয়ে এর কারণ হিসেবে ‘ওবামা প্রশাসনের স্বাক্ষরিত’ একটি চুক্তিকে দায়ী করেন। তিনি দাবি করেন, ‘সামান্য কিছু টাকা’র কারণে ‘লন্ডনের সবচেয়ে ভালো এবং দারুণ জায়গায়’ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের জমি বেচে অন্য দিকে স্থানান্তর করেছেন ওবামা।
টুইটে বলা হয়, ‘আমি লন্ডন সফর বাতিল করেছি, কারণ আমি ওবামা প্রশাসনের অন্ধ ভক্ত নই- যারা কিনা সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে লন্ডনের সবচেয়ে ভালো ও দারুণ জায়গায় দূতাবাসের জমি বেচে দুর্গম একটি এলাকায় নিয়ে গেছে। ১২০ কোটি ডলারের এ চুক্তি খুবই বাজে। আমাকে দিয়ে ফিতা (নতুন দূতাবাসে) কাটাতে চেয়েছিল- কখনোই না!’
তবে সংবাদমাধ্যম বলছে, ট্রাম্প ডেমোক্রেটিক পার্টির ওবামাকে দুষলেও দূতাবাস সরানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তার দলীয় উত্তরসূরী অর্থাৎ রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের মেয়াদের শেষ দিকে। আগের ভবনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার জন্য অবকাঠামোগত অগ্রগতি সাধন করা যাচ্ছিলো না বিধায় দূতাবাস সরানোর এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয় সেসময়।
অবশ্য ব্রিটেন সফর বাতিলের পেছনে ‘অন্য কোনো কারণ’ আছে কি-না, সেটাও বিশ্লেষণ করছে সংবাদমাধ্যম। কারণ গত নভেম্বরে ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে মুসলিম বিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক তিনটি পোস্ট দেওয়া হলে এর কড়া সমালোচনা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। জবাবে ট্রাম্প বিবাদে জড়িয়ে যান একসময়ের সবচেয়ে বড় ‘মিত্র’ দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে। তিনি সেসময় টেরিজাকে বলেন, ‘টেরিজা মে! আমার দিকে নয়, ধ্বংসাত্মক ইসলামী সন্ত্রাসবাদের দিকে মনোযোগ দিন, যেটা যুক্তরাজ্যে চলছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
এইচএ/