বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) বরাত দিয়ে জানায়, এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির পুকিয়ো শহরের ১২৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
অবশ্য ইউএসজিএস কম্পনের মাত্রা প্রথমে ৭ দশমিক ৩ বলে জানালেও এখন বলছে, এটি ছিল ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূকম্পন।
পেরুর ভূমিকম্প কবলিত দক্ষিণাঞ্চলীয় আরেকিপার গভর্নর ইয়ামিলা ওসোরিও এক টুইটে জানান, ইয়াউকা এলাকায় ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি পাথরচাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
জিওফিজিক্স ইনস্টিটিউট অব পেরুর প্রধান নির্বাহী হার্নান্দো তাভেরা রাষ্ট্রীয় টিভি পেরুকে জানান, নিহত অন্য ব্যক্তিও একই এলাকায়।
যে ৬৫ জনের আহত হবার খবর পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে কমপক্ষে ২৩ জনই আরেকিপা এলাকার। ভূমিকম্প কবলিত বিস্তীর্ণ এলাকাটির বেশির ভাগ অংশই দুর্গম পার্বত্য এলাকা বলে এখনো সব এলাকার খবর এসে পৌঁছায়নি। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়বে –এমন আশঙ্কাই প্রবল।
এর আগে ভূমিকম্পের পরপরই দ্য প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার বলেছিল, ভূকম্পনের কেন্দ্রস্থলের ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে সমুদ্রে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে। যার প্রভাবে উপকূলীয় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
ইউরোপিয়ান মেডিটেরানিয়ান সিজমোলজিক্যাল সেন্টার( ইমএমএসসি) জানায়, পেরুর দক্ষিণ উপকূলের যেসব এলাকায় এই প্রবল ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে, তার আশপাশে সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি লোকের বাস।
উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরের যে এলাকাটিতে পেরুর অবস্থান সেখানে অসংখ্য আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এজন্য ভূতাত্ত্বিকরা একে ‘অগ্নিবলয়’ বলে অভিহিত করে থাকেন। সারাবছরই এলাকাটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও প্রচণ্ড ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালেও আরেকিপা এলাকায় এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। তখনও বেশ কিছু মানুষ আহত ও নিহত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮/ আপডেট ১৭৩৬ ঘণ্টা/আপডেট ২০২৩ ঘণ্টা
জেএম