তুরস্কের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের একটি ইউনিট প্রস্তুত করছে। সেখানে কুর্দি এই সামরিক ইউনিটকে তুরস্ক তার দেশের জন্য হুমকি ঘোষণা দিয়ে তাদের আঁতুড় ঘরেই ধ্বংস করার ঘোষণা দিয়ে বিমান হামলার কথা বলেছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বলেছেন, তার দেশ আফরিনের ছিটমহলে আগ্রাসন চালানোর কথা ভাবছে। কেননা, সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধারা তুরস্কের জন্য হুমকি হিসেবে এরই মধ্যে আবির্ভূত হয়েছে।
ন্যাটোর পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বেলিতে তুর্কি প্রতিনিধি দলের আহমেদ বেরিট কনকর উল্লেখ করেছেন, আফরিনে সৈন্য মোতায়েন করার পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া। যা সেখানে তুরস্কের অভিযানের সময় সংঘর্ষ ঘটাতে পারে।
এর আগে গত সপ্তাহে, তুর্কি সরকার উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি-আধিকৃত এলাকায় আক্রমণ চালানোর ঘোষণা করে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিকভাবে কুর্দি যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত ৩০ হাজার সদস্যের একটি শক্তিশালী সীমান্তরক্ষী বাহিনী তৈরির কথা বলছে। অন্যদিকে, আঙ্কারা সিরিয়ান কুর্দি যোদ্ধাদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে মনে করে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং অন্যান্য সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে অপারেশন নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়ে তুর্কি সেনা প্রধান হুলসি আকরা বলেন, আশা করছি, রাশিয়া এ অভিযানে আপত্তি করবে না।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, শীর্ষ সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার পর তুরস্কের অপারেশনের বিষয়ে উভয় পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাবে এবং উভয়পক্ষই একটি সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি দেখবে। তিনি আশা করেন, আফরিনে তুরস্ক’র বিরোধিতা করবে না মস্কো।
এর আগে বৃহস্পতিবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুফোগলু জানান, আঙ্কারা আকাশসীমা ব্যবহারে পরিকল্পিত অভিযানের সমন্বয়ের জন্য রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। যা রাশিয়ান পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৮
আরএম/