বর্তমানে সিরিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলের আফরিন অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করছে সিরিয়ান কুর্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠী ওয়াইপিজি। এই কুর্দি মিলিশিয়াদের সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য করে তুরস্ক।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়িপ এরদোগানের নির্দেশের পর থেকেই এ অভিযান শুরু হয়।
প্রেসিডেন্ট বলেন, সীমান্তবর্তী আফরিন শহরের উত্তরবঙ্গের মানবিজ এলাকায়ে অভিযান চলবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এই কুর্দি মিলিশিয়াদের নিয়ে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তৈরি করতে চায় বলে খবর প্রকাশের পর উদ্বিগ্ন ছড়িয়ে পড়ে তুরস্কে। সিরিয়ায় যাতে আবার ইসলামিক স্টেটের পুনরুত্থান না ঘটে। তাই মিলিশিয়াদের কাজে লাগানোর কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র আসলে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করতে চাইছে অভিযোগ এমন জানিয়ে এ চেষ্টা ভন্ডুল করে সিরিয়ার সীমান্ত লাগোয়া দু’টি শহর আফরিন ও মানবিজ থেকে কুর্দিদের নির্মূল করতে শীঘ্রই অভিযান শুরু হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়িপ এরদোগান।
নেটো জোটের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও তুরস্ক এ অভিযান শুরু করেছে। তুরস্কের এ অভিযানে সিরিয়ার সাত বছরের গৃহযুদ্ধ আবারও একটি নাটকীয় মোড় নিলো।
তুরস্ক ইতোমধ্যে আফরিন অঞ্চল বরাবার তাদের সীমান্তে বিপুল সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে। সেখানে ট্যাংক বহর মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে কুর্দি মিলিশিয়া নেতারা যে কোনো মূল্যে তুরস্কের আক্রমণ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
এইচএমএস/