গত সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে এদের আটক করা হয় বলে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুর্দিপন্থি পিওয়াইডি ও পিকেকে বিদ্রোহীদের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোয় এক সপ্তাহ ধরে অভিযান চালিয়ে ৪৭৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
সার্বভৌমত্ব রক্ষার অজুহাতে তুরস্ক গত ২০ জানুয়ারি সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আফরিন এলাকায় পিকেকে, কেসিকে, পিওয়াইডি ও ওয়াইপিজিসহ কুর্দিপন্থি সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দমনে অভিযানে নামে। সশস্ত্র কুর্দিরা তুরস্ক, সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল এলাকা দখলে নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে লড়াই শুরু করার পর থেকে তাদের নির্মূলে তৎপর আঙ্কারা।
সম্প্রতি সিরিয়ার আফরিনে কুর্দিরা আরও সংগঠিত হচ্ছে বলে তথ্য পেয়ে ‘অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ’ নামে এই অভিযান শুরু করে তুরস্ক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ওই অভিযান শুরুর পর থেকেই তুরস্কের কুর্দিপন্থি রাজনৈতিক দল ও অন্যান্যরা রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার শুরু করেছে। এই অপপ্রচার থামাতে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১ হাজার ৫৩টি অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মোট ৬৬৬ জনকে ধরার পাশাপাশি ২৫ জনকে ‘উৎখাত’ করা হয়েছে।
তুরস্কের ক্ষমতাসীনদের সমালোচক সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, অপপ্রচারের জন্য আঙ্কারা সরকার কুর্দিপন্থি পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (এইচডিপি) নেতা পারভীন বুলদান ও সিরি সুরেয়া ওনদারকেও সন্দেহভাজন তালিকায় রেখেছে। ওই অভিযানের প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছে এইচডিপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
এইচএ/