ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

স্বেচ্ছামৃত্যুতে সায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৮
স্বেচ্ছামৃত্যুতে সায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের

ঢাকা: নিরাময় অযোগ্য রোগের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে কোনো নাগরিক চাইলে ভবিষ্যতে লাইফ সাপোর্টে বেঁচে থাকতে চান না মর্মে উইলও করতে পারবেন-মর্মে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

শুক্রবার (০৯ মার্চ) ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।  

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ভিত্তিক ‘কমন কজ’ নামে একটি এনজিওর করা আবেদনের ভিত্তিতে এ রায় দেওয়া হয়েছে।

 

পিটিশনে বলা হয়, ‘একজন ব্যক্তির নিজের শরীরের ওপর অত্যাচার প্রতিরোধের অধিকার নেই, একথা আপনি কিভাবে বলতে পারেন? বেঁচে থাকার অধিকারের মধ্যেই সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুর অধিকার অন্তর্নিহিত। যন্ত্রের সাহায্যে (ভেন্টিলেশন) কাউকে বেঁচে থাকতে বাধ্য করা যায় না। একজন ব্যক্তিকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখার অর্থ তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেঁচে থাকতে বাধ্য করা। ’

রায়ের শুরুতে বলা হয় ‘মানুষের সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুর অধিকার আছে। তবে রায়ে বিচারকরা এ ক্ষেত্রে চারটি আলাদা মত দিয়েছেন। তবে সবাই ‘লিভিং উইল’ এর অনুমতি দেওয়া উচিত বলে একমত হয়েছেন তারা।

রায়ে বলা হয়, যদি ভবিষ্যতে কোমায় চলে গেলে কেউ আর বেঁচে না থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তবে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে তার জীবন টেনে নেওয়া উচিত নয়।

‘লিভিং উইল’ কার্যকরের ক্ষেত্রেও সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।  

যদি কোনো রোগী ‘লিভিং উইল’ করে না যান এবং চিকিৎসকরা তার অসুস্থতা নিরাময় অযোগ্য বলে ঘোষণা করেন;  কিন্তু রোগী নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত অবস্থায় না থাকেন তবে তার কোনো স্বজন  উচ্চ আদালতে স্বেচ্ছা মৃত্যুর অনুমতি দেওয়ার আবেদন করতে পারবেন।  

ওই আবেদনের ভিত্তিতে আদালত মেডিকেল বোর্ডকে তলব করে স্বেচ্ছা মৃত্যুর প্রয়োজনীয়তা জিজ্ঞাসা করবেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যশ জানায়, ভারতে অরুণা শানবাগের স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদনটি ছিল এ ধরনের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ১৯৭৩ সালে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর অরুণা কোমায় চলে যান এবং ৪২ বছর পর ২০১৫ সালে তার মৃত্যু হয়।

২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট অরুণাকে জোর করে খাওয়ানো বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারা অনুযায়ী, আত্মহত্যার চেষ্টার সাজা  সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৮
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।