বুধবার (২৯ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এর অগে সোমবার (২৭ আগস্ট) জাতিসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তারা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে ‘রোহিঙ্গা গণধর্ষণের’ পাশাপাশি ‘গণহত্যার অভিপ্রায়ের’ দায় দিয়ে অভিযোগ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
এছাড়া মিয়ানমারের এ জাতিগত সহিংসতা নিরোধে অং সান সু চির ভূমিকা নিয়েও কঠোরভাবে সমালোচনা করা হয় প্রতিবেদনে। কিন্তু এমন সমালোচনার মুখে পড়েও সু চির নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহার করা হচ্ছে না বলে ঘোষণা দিলো কমিটি।
নোবেল কমিটি বলছে, জাতিসংঘের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সু চির নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। কেনান সু চি ১৯৯১ সালে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামের স্বীকৃতিতে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। যা তার অতীত অর্জন। বর্তমান ব্যর্থতা ‘পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার মতো’ প্রভাব ফেলবে না।
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির সেক্রেটারি অলাভ নজেলস্তাদ বলেন, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, নোবেল পুরস্কার পদার্থবিজ্ঞান, সাহিত্য বা শান্তির জন্য যে কোনো ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জন করলেই দেওয়া হয়। সেটা একজনের অতীত অর্জনের জন্যই হয়।
তিনি বলেন, সু চি ১৯৯১ সালে নোবেল জয়ের যোগ্যতা অর্জন করেছেন। সেজন্য ওই বছরই তাকে পুরস্কৃত করা হয়।
এছাড়া নোবেলের যে নিয়মাবলীতে পুরস্কার দেওয়া হয় তাতে সেটি পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কোনো বিধান নেই বলেও উল্লেখ করেন নজেলস্তাদ।
এর আগে গত বছর নোবেল পুরস্কার কমিটির প্রধান বেরিথ রেইস-অ্যান্ডারসেনও বলেছিলেন, রোহিঙ্গা সংকটের কারণে অং সান সু চির নোবেল পুরস্কার নিয়ে কোনো সমালোচনা বা এটি প্রত্যাহার করা হবে না।
সেসময় তিনি এও বলেছিলেন, আমরা সু চির পুরস্কার প্রত্যাহার করতে পারি না। এটা আমাদের এখতিয়ারে নেই। তাছাড়া যিনি পুরস্কার অর্জন করেছেন, সেটির সম্মান ধরে রাখারা দায়িত্ব তারই।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
টিএ