বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) বাঁধটি ভেঙে প্রবল পানিতে আশপাশের গ্রামসহ সড়ক-মহাসড়ক ডুবে যায় বলে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করে। এর আগে বুধবার (২৯ আগস্ট) দেশটির মধ্যাঞ্চলের সওয়ার খাড়ির ওই সেচ বাঁধটি ভেঙে যায়।
পরে মিয়ানমার ফায়ার সার্ভিস সদস্য, সৈন্য এবং সরকারি কর্মকর্তারা বন্যা প্লাবিতদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।
দেশটির সেচ এবং জল ব্যবহার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ডেপুটি মহাপরিচালক জো লইন থুন বলেন, হঠাৎ করে অতিরিক্ত পরিমাণ পানি এসে এমন ক্ষতি হলো। তবে বাঁধ এলাকায় এখন পানি কমেছে। বাঁধটি এখন ভালো অবস্থায়ও আছে।
তিনি বলেন, এ বন্যায় ৮৫ গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রভাবিত হয়েছেন প্রায় ৬৩ হাজার মানুষ। এছাড়া মহসড়কের বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত হয়ে যায়।
এদিকে, দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, কয়েকদিন আগে বাঁধটি দিয়ে পানি বের হতে দেখা গেলে স্থানীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করে। ওই সময় বাঁধে কোনো সমস্যা হয়নি বলে তাদের আশ্বস্ত করে কর্তৃপক্ষ। বাঁধটির দুই লাখ ১৬ হাজার ৩৫০ একর-ফিট পানি ধারণ ক্ষমতা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছিল তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
টিএ