বুধবার (২৯ আগস্ট) এক টুইটার বার্তায় এসব কথা বলেছেন ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে অবশ্য দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সামরিক মহড়া অব্যাহত রাখা হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। উত্তর কোরিয়া সেসময় বহিরাক্রমণের এসব বিষয়ের সমালোচনাও করে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতি টুইট করে ট্রাম্প চীনের ভূমিকা নিয়েও ফের প্রশ্ন তুলেছেন। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে চীনের ভূমিকা নিয়ে টুইটে সমালোচনা করেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশ্বাস, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে চীনের কাছ থেকে ‘ভয়াবহ চাপে’ রয়েছে। কিন্তু বেইজিং উত্তর কোরিয়াকে ‘গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা’ দিয়ে আসছে। যার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও সার। এটা সহায়ক নয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং উনের সম্পর্ক খুবই ভালো ও উষ্ণ। এ সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধপ্রস্তুতি নিতে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয়ের কোনো কারণ নেই।
‘এছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি অবিলম্বে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে নিয়ে যৌথ মহড়া শুরু করে, তবে সেটি হবে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বড়। ’
বিবৃতিতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিতর্ক নিয়েও আলোচনা করা হয়। বলা হয়, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ও অন্য দূরত্ব প্রেসিডেন্ট্ ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সমাধান করবেন। তাদের সম্পর্ক ও বন্ধন এখনও দৃঢ়।
এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইয়ং বলেন, উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে চীনের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য ‘দায়িত্বহীন’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
এএইচ/আরআর