শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ মেহমুদ কোরেশির সঙ্গে সাক্ষাতে এ মন্তব্য করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইমরান খান ক্ষমতা গ্রহণের প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সফর করছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশ্লেষকরা বলছেন, তিনদিনের এ সফরের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশ দু’টি কূটনীতিক সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করবেন।
খবরে বলা হয়, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রজেক্টের জন্য পাকিস্তানকে পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের অঙ্গীকার করেছে বেইজিং।
ওয়াং বলেন, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রজেক্টটি, যা চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) নামেও পরিচিত, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বিকাশে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে ৭০ হাজার কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, সিপিইসি পাকিস্তানের ওপর ঋণের বোঝা চাপাবে না। বরং প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়ে গেলে তারা বিশাল অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে। ঋণের ৪৭ ভাগ আসবে আন্তর্জাতিক মনিটরিং ফান্ড (আইএমএফ) ও এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক থেকে।
এ সময় তিনি সিপিইসি‘র স্বচ্ছতা নিয়ে বিভিন্ন উদ্বিগ্নতার বিষয় প্রত্যাখান করেন। তিনি বলেন, প্রজেক্টটি নিয়ে এসব উদ্বিগ্নতা মিথ্যা।
এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশি বলেছেন, নতুন সরকারের ক্ষেত্রেও সিপিইসি শীর্ষ অগ্রাধিকার। তিনি এ প্রজেক্টের ফলে দু’দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথাও বলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৮
এএইচ