বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। খবরে বলা হয়, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ও দেশটির মুদ্রার দরপতনে অনেক পরিবার খাদ্য নিরাপত্তার সংকটে ভুগছে।
অন্যদিকে দেশটির অন্যতম বন্দর হুদাইদাতে চলমান সংঘর্ষও খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলছে। কারণ অধিকাংশ সাহায্য এ বন্দর হয়েই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছায়।
খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে চলা গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটিতে শিক্ষকসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন অনেক দেরিতে। এমনও হয়েছে, অনেকে দুই বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না।
অন্যদিকে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যও ভয়ানকভাবে বেড়েছে। গৃহযুদ্ধ শুরুর সময় থেকে এপর্যন্ত তা বেড়েছে ৬৮ শতাংশ।
একইসঙ্গে ইয়েমেনি রিয়ালের মান কমেছে প্রায় ১৮০ শতাংশ। গত মাসেই ইতিহাসের সর্বোচ্চ দরপতনের ঘটে এই মুদ্রার।
অন্যদিকে হুদাইদাতে অবরোধ ও উভয় পক্ষের যুদ্ধ চলায় আরও শঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী হ্যালে থ্রোনিং শ্মিট বলেন, পরবর্তী খাবার কখন বা কীভাবে আসবে তা এদেশের শিশুদের অজানা। ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের একটি হাসপাতালে দেখি, শিশুরা এতোই দুর্বল যে তারা কাঁদতেও পারছে না।
গত মাসে সংস্থাটি জানায়, ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভোগা পাঁচ বছরের কম বয়সী চার লাখ শিশুকে সহায়তা দিয়েছেন তারা। তাদের অনুমান চলতি বছরের শেষের দিকে ৩৬ হাজারের বেশি শিশুর প্রাণহানি হতে পারে।
২০১৫ সালের শুরুতে ইয়েমেনে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের অধিকাংশ জায়গা দখলে নেয় হুথি বিদ্রোহীরা। বাধ্য হয়ে দেশ ত্যাগ করেন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদি। বিদ্রোহীদের দখল করা অঞ্চলগুলো পুনরায় দখলে নিতে সৌদি জোট ও সরকারের হামলায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি