বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আইসিসির পাবলিক প্রসিকিউটর ফাতোউ বেনসুদা জানান, তিনি রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রাথমিক তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বেনসুদা বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেলে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসির তদন্তে সাহায্য করবে। এখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতনের বিষয়টি প্রধান লক্ষ্য হিসেবে থাকবে। কেনো রোহিঙ্গারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হলেন, সেটা খতিয়ে দেখার বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে তদন্তে।
তিনি বলেন, তদন্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যা, যৌন নিপীড়ন, ধ্বংস, লুট প্রভৃতি বিষয়গুলো অর্ন্তভুক্ত করা হবে।
আইসিসির এ প্রসিকিউটর বলেন, হেগভিত্তিক এ আদালত আরও বিবেচনা করবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়ন না-কি অন্য কোনো অমানবিক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
আগস্টে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়। যা অস্বীকার করে মিয়ানমার।
আইসিসিতে মিয়ানমার স্বাক্ষর না করলেও বিচারকরা বলছেন, বাংলাদেশ যেহেতু হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক এ আদালতের সদস্য, তাই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যেকোনো অপরাধের বিচারিক ক্ষমতা রয়েছে আইসিসির।
এদিকে, আইসিসির এমন ঘোষণার মধ্যেই বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। তার এ সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনার কথাও রয়েছে।
এর আগে রোহিঙ্গা গণহত্যায় জাতিসংঘ গঠিত স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের চার শতাধিক পৃষ্ঠার বর্ণনামূলক একটি প্রতিবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির মানবাধিকার প্যানেল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এএইচ/টিএ