সম্প্রতি দেশটিতে কঠোর নেতৃত্বের কারণে বিরোধীদের দমন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো ঘটনা ঘটায় এবারের নির্বাচনটি দেশটির অন্যতম প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্লেষকরা তুলছেন সম্ভাবনা কিংবা শঙ্কার প্রশ্ন।
সাবেক সরকারি কর্মকর্তা থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া আব্দুল্লাহ ইয়ামিন ফের দ্বিতীয় দফায় এ পদেই আসীন থাকতে চাচ্ছেন। ২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর কঠোর হাতে দেশ শাসন করেছেন ৫৯ বছর বয়সী ইয়ামিন। তার আমলে যেমন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার অভিযোগ রয়েছে, তেমনি অধিকাংশ বিরোধীকেই জেলে পাঠানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। বাদ যায়নি তার সৎ ভাইও।
জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী গণতন্ত্রের হুমকি স্বরূপ সব ধরনের কাজ করেছেন ইয়ামিন। রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ডেকেছেন। রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া বিচারকদের গ্রেফতারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে সেনা পাঠিয়েছেন।
নির্বাচনে ইয়ামিনের অন্যতম বিরোধী ৫৪ বছর বয়সী ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। তবে বিভিন্ন কারণে কঠিন হয়ে পড়ছে তার প্রচারণা কার্যক্রম। সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ তোলা হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নির্বাচনকে ঘিরে ভূ-রাজনীতির অনেক বিষয়ও জড়িত রয়েছে। এক সময় ভারতের ওপর নির্ভরশীল অর্থনীতি এখন চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। অভিযোগ রয়েছে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বাড়াতে ও প্রতিপক্ষদের দমনে কোটি কোটি ডলার ঋণ সুবিধাসহ নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন।
এদিকে চলতি বছরের জুলাইয়ে মালদ্বীপের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। অন্যদিকে নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ না হলে যুক্তরাষ্ট্রও পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি