বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেছেন এ কূটনীতিক। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যু আইসিসির কাছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ করা উচিৎ কিনা।
এ প্রশ্নের জবাবে গুতেরেস বলেন, আমি যতদূর বুঝি, এ ইস্যুটি দেখভাল করার মতো সক্ষমতা আইসিসির আছে। আমার মনে হয় এ সক্ষমতা প্রমাণও করেছেন তারা।
রয়টার্সের প্রতিবেদকের বিষয়ে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রয়টার্সের ওই সাংবাদিক যা করেছেন তার জন্য তাকে জেলে পাঠানো গ্রহণযোগ্য নয়।
হেগভিত্তিক আইসিসির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিষয়টি বিচারের আওতায় আনার সম্ভাবনা রয়েছে।
আইসিসি এক বিবৃতিতে জানায়, কৌঁসুলি ফাতাউ বেনসুদার অবশ্যই বিচারিক ক্ষমতা রয়েছে। তার প্রাথমিক অনুসন্ধানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সংঘটিত অপরাধর বিষয়টি উঠে এসেছে।
২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট রাতে তথাকথিত আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) মিয়ানমারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার পরদিন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করা হয় রোহিঙ্গাদের। তারপর থেকে রোহিঙ্গাদের সেই ঢল এখনও থামেনি।
বাংলাদেশে এখন ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এখনও প্রতিদিনই কিছু না কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে আরও প্রায় সাড়ে তিন লাখ রোহিঙ্গা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
এএইচ/আরআর