বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
বোল্টনের এমন হুমকির আগে মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে ইরানকে শাসান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ট্রাম্প প্রশাসনের এমন মন্তব্যের জবাবে কড়া সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্পের বৈরী আচরণের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
মার্কিন কূটনীতিক বোল্টন ইরানকে ‘খুনী অঞ্চল’ আখ্যা দিয়ে বলেন, তেহরানের ‘মোল্লারা’ যদি বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারণা ও মিথ্যা বলা অব্যাহত রাখে, তবে তাদের খুব খারাপ ফলাফলের সম্মুখীন হতে হবে।
নিউইয়র্কে ইরান বিরোধী সম্মেলনে বোল্টন আরও বলেন, যদি আপনারা আমাদের ডিঙিয়ে মিত্র, অংশীদারদের লঙ্ঘন করেন কিংবা আমাদের নাগরিকদের ক্ষতি করেন তবে কঠিন সমস্যায় পড়বেন।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ইস্যুতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ইরান পারমাণবিক শক্তি হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দেয়।
অন্যদিকে, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দেয় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার।
কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ান। আরোপ করেন নতুন নিষেধাজ্ঞা। তখন থেকেই দেশ দু’টির কূটনৈতিক সম্পর্কে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এএইচ/টিএ