শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ২ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৪টা ২ মিনিট) মধ্যাঞ্চলের দ্বীপ সুলাবেসির পালু শহরের ৭৮ কিলোমিটার উত্তরে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এর আগে ওই পালু শহরেরই ৫৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভূ-পৃষ্ঠের ১৮ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে সেটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১। এতে এখন পর্যন্ত একজন নিহত ও ১০ জন আহত হওয়ার খবর মিলেছে। ধসে পড়েছে অনেক বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা।
ওই ভূমিকম্পের পর আরও কয়েকটি পরাঘাত অনুভূত হয় পালু অঞ্চলে। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েকের মাথায়ই আঘাত হানে শক্তিশালী এ ভূমিকম্প।
ঘণ্টাখানেকের মাথায় সুনামি সতর্কতা তুলে নেওয়া হলেও জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুর্বো নুগ্রহ সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বলেন, আমরা জনগণকে নিরাপদে থাকতে বলছি, তারা যেন ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে দূরে সরে থাকেন।
ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে উদ্ধারকর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক এলাকায়ই যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নয় বিধায় জাতীয় সংস্থা সেখানে যেতে পারছে না। তবে সরকার এ বিষয়ে তদারকি করছে।
গত জুলাই ও আগস্টে পালু শহর থেকে শত কিলোমিটার দূরের লমবোক দ্বীপে দফায় দফায় ভূমিকম্পে ৫০০ লোকের প্রাণহানি হয়।
প্রশান্ত মহাসাগরের ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত ইন্দোনেশিয়া এই শতকে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হয় ২০০৪ সালের ভূমিকম্পে। ৯ দশমিক ১ থেকে ৯ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সেখানে ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট সুনামিও আছড়ে পড়ে। এতে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় সোয়া লাখ মানুষ নিহত হয়। আশপাশের আরও ১২টি দেশ মিলিয়ে সোয়া দুই লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয় ওই ভূমিকম্পে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮
এইচএ/