বছরের ২৪তম সামুদ্রিক এই ঝড়ের প্রভাবে এরইমধ্যে বৃষ্টিপাত ও তীব্র বাতাসে বাতিল করা হয়েছে প্রায় চারশ’ ফ্লাইট। ভেঙে পড়েছে গাছপালা, দেয়াল।
সামুদ্রিক ঝড় ‘ত্রামি’ ঘণ্টায় ২১৬ কিলোমিটার বেগে বাতাস নিয়ে শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ওকিনাওয়ার উত্তরে আঘাত হানতে পারে। এরপর রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) নাগাদ কাইশু ও হনশুর মূল ভূ-খণ্ডে আঘাত হানবে। ‘জেবি’ যে পথে আঘাত হেনেছিলো ‘ত্রামি’র গতিপথও একই বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে ঝড়ের প্রস্তুতি হিসেবে শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কর্মকর্তারা জরুরি বৈঠক করে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি এড়াতে করণীয় নির্ধারণ করেছেন। সংগ্রহ করছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ঝড়ের গতিপথ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে লোকজনকে।
এর আগে সেপ্টেম্বরের প্রথমার্ধে ‘জেবি’র আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয় জাপান। ঝড়টি ছিলো গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। এছাড়া এর প্রভাবে যে উচ্চতায় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় তা ছিলো ১৯৬১ সালের পর সর্বোচ্চ। এতে ওসাকার কানসাই বিমানবন্দরের রানওয়ে পানিতে তলিয়ে গিয়ে কয়েকদিন ফ্লাইট ওঠানামা পর্যন্ত বন্ধ থাকে।
২০১৮ সালের শুরুতে জাপানে রেকর্ড বৃষ্টিতে দুইশতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। যদিও তার আগে খরায় দুর্বিষহ সময় পার করেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রের দেশটির মানুষ।
এছাড়া চলতি সেপ্টেম্বরেই জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইদুতে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৪০ জনের প্রাণহানি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
জেডএস