শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে সম্প্রতি সীমান্তে ঘটে যাওয়া কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনার বিষয়ে কথা বলেন বিএসএফ প্রধানের পদ অবসর নিতে চলা এই সেনাকর্মকর্তা।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রামগড়ে বিএসএফের হেড কনস্টেবল নরেন্দ্র সিংয়ের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই এসব ঘটেছে।
বিএসএফ প্রধান বলেন, সীমান্তে পরিস্থিতির কোনোই উন্নতি হয়নি। এবার আন্তর্জাতিক সীমান্তে ‘বর্ডার অ্যাকশন টিমে’র (ব্যাট) অভিযান হয়েছে যা আগে কখনও ঘটেনি। ব্যাটের অভিযানগুলো হয় মূলত এলওসি (লাইন অব কন্ট্রোল) এলাকায়। অপর পক্ষ (পাকিস্তানি সীমান্তরক্ষী) আগের তুলনায় অনেক বেশি আগ্রাসী অবস্থান নিয়েছে।
তিনি যোগ করেন, অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকছি।
সীমান্তে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, সাধারণত আমরা যখন মহড়া চালাই, তখন অপর পাশ থেকে আমাদের উদ্দেশ্যে কিছু ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। তখন আমরা মহড়া থামিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আবার মহড়া আরম্ভ করি। এবারও একইভাবে গুলি ছোড়া হলে আমাদের সেনারা পিছুহটে।
‘চলে আসার পর তারা বুঝতে পারে একজনকে ফেলে আসা হয়েছে। তাই তারা ওই স্থানে আবার ফিরে যায় এবং সেখানে একটি হেলমেট ও টুপি খুঁজে পায়। এছাড়াও একজন মানুষকে টেনে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়ার আলামত পাওয়া যায়। এরপর আমাদের সেনারা অনুমতি নিয়ে ওপারে তল্লাশি চালিয়ে একটি গুলিবিদ্ধ মরদেহ খুঁজে পায় যার পা দু’টি বেঁধে রাখা হয়েছিল।
এরকম ঘটনায় বিএসএফ অতীতে সবসময় কঠিন জবাব দিয়েছে মনে করিয়ে শর্মা বলেন, এবার মরদেহটি উদ্ধার করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অতি শিগগিরই আমরা এ বিষয়ে কিছু একটা করতে চলেছি।
এছাড়াও পাকিস্তানের নীতি ভারতের সন্ত্রাসীদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
এনএইচটি