শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর থেকে দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু শহরের কাছে ধারাবাহিক ভূমিকম্পের পর ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে জারি করা হয় সুনামি সর্তকতা।
প্রাথমিক কোনো ধরনের প্রাণহানির খবর না মিললেও শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাণহানির খবর আসতে থাকে। এতে সবশেষ ৩৮৪ জনের প্রাণহানির খবর জানা যায়। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। প্রাকৃতিক এ দুর্যোগে বহু মানুষ আহত হওয়ায় বেগ পেতে হচ্ছে হাসপাতালগুলোতে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, উপকূলবর্তী বিভিন্ন স্থাপনা সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছে এবং স্থানীয়রা ভয়ে ছোটাছুটি করছে।
ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্প-সুনামিতে নিহত ৫০
কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার উদ্ধার অভিযান শুরু হলেও পালুর রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও যোগযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় তা উদ্ধার অভিযান করে তুলেছে। ঘটনাস্থল থেকে এক ফটোসাংবাদিকের বরাত দিয়ে বলা হয়, বেশ কয়েকজন মানুষ নিহত হয়েছেন। কিন্তু তারা ভূমিকম্পে নাকি সুনামিতে মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া ও ভূতাত্ত্বিক সংস্থার প্রধান জানান, পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। বিভিন্ন ভবন ধসে পড়েছে এবং মানুষ রাস্তায় ছোটাছুটি করছে। একটি জাহাজ ডাঙায় ভেসে এসেছে।
ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ দেশ। গত জুলাই ও আগস্টে পালু শহর থেকে শত কিলোমিটার দূরের লমবোক দ্বীপে দফায় দফায় ভূমিকম্পে ৫০০ লোকের প্রাণহানি হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত দেশটিতে ২০০৪ সালে ৯.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ইন্দোনেশিয়াসহ আশেপাশের কয়েকটি ভয়াবহ সুনামি আছড়ে পড়ে। এতে প্রায় দুইলাখেরও বেশি মানুষ নিহত হন যারমধ্যে প্রায় সোয়া লাখই ইন্দোনেশিয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্ব ২৯, ২০১৮
জেডএস