বিশ্ব আদালত বলে পরিচিত আইসিজে শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইসিজে ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র’ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছে।
ওই বিবৃতির ব্যাখ্যায় বলা হয়, ফিলিস্তিন (মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে) আপত্তি জানিয়ে বলেছে, তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের মাধ্যমে ১৯৬১ সালের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক চুক্তি ভিয়েনা কনভেনশনকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। ওই কনভেনশন অনুযায়ী, যে দেশে দূতাবাস স্থাপন করা হবে (হোস্ট কান্ট্রি) সে দেশের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলেই এটি রাখতে হবে বিদেশি রাষ্ট্রকে (হোম কান্ট্রি)। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি ভেঙে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের বাইরে দূতাবাস সরিয়েছে।
ইসরায়েল সামরিক দিক দিয়ে জেরুজালেম নিয়ন্ত্রণ করলেও কালের সাক্ষী শহরটির পুরোপুরি মালিকানা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়ে গেছে। ফিলিস্তিনিরা মনে করে, জেরুজালেম মুসলিমদেরই এবং এই শহরটিকে তারা ভবিষ্যৎ সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী মনে করে।
১৯৯৩ সালের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তিচুক্তি অনুযায়ী, জেরুজালেম নগরীর বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হতে হবে। এই চুক্তি অনুযায়ী ভাবী ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখা হয় পূর্ব জেরুজালেমকে।
কিন্তু দশকের পর দশক ধরে অনুসৃত এ নীতি থেকে সরে এসে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুরো জেরুজালেমকেই ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে তেলআবিব থেকে সেখানে দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দেন। এর প্রেক্ষিতে পুরো বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। খোদ পশ্চিমা মিত্ররাও ট্রাম্পের এই খেয়ালি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে। পরে অবশ্য ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
আইসিজে তাদের বিবৃতিতে জানায়, অভিযোগে ফিলিস্তিন সরকার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অনুরোধ জানিয়েছে- পবিত্র ভূমি জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনের কার্যক্রম বন্ধে আদালত যেন পদক্ষেপ নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/