রাখাইনে সম্ভাব্য রোহিঙ্গা গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে জাতিসংঘের একটি পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় চীন এ মন্তব্য করলো।
বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ওই পরিষদ গঠনে ভোটাভুটি করে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং জি বলেন, রাখাইনের এ ইস্যুটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ একটি ইস্যু। চীন এটিকে জটিল, সম্প্রসারিত ও আন্তর্জাতিকীকরণের ভূমিকায় থাকতে চায় না।
রাখাইনে মিয়ানমারের কর্মকাণ্ডকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে আখ্যা দেয় জাতিসংঘ। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার। তাদের ভাষ্য, রোহিঙ্গারাই অধিকাংশ নৃশংসতার জন্য দায়ী।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের কূটনৈতিক সম্পর্ক খুবই ভালো। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশটির পক্ষে ইতিবাচক সাড়াও দিয়েছে বেইজিং। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ ইস্যু নিয়ে একটি প্রস্তাবনা উঠলে তার বিরুদ্ধেও ভেটো দেয় চীন।
গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নিধনযজ্ঞ শুরু হলে প্রাণ বাঁচাতে সেখান থেকে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। এর আগে থেকেই বাংলাদেশ বয়ে চলেছে আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার।
ঢাকাসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই রোহিঙ্গাদের সসম্মানে রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে চাপ দিয়ে আসছে মিয়ানমারকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/