শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পদত্যাগ দাবিতে ২০১১ সালের মার্চে দেশটিতে আন্দোলন শুরু হয়।
মূলত এই বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইকেই ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ বলে ইঙ্গিত করেছেন বাশারের অনুগত মন্ত্রী ওয়ালিদ।
তিনি অধিবেশনে ভাষণদানকালে সিরিয়ার বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সিরিয়াতে সংঘটিত বিভিন্ন যুদ্ধ অপরাধের জন্য মার্কিন জোটই দায়ী।
বিদ্রোহীদের সবশেষ ঘাঁটি ইদলিব সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আনতে সামরিক বাহিনী কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানকার পরিবেশ বেশ এখন স্থিতিশীল ও নিরাপদ। রক্তক্ষয়ী এ দ্বন্দ্বে সিরিয়ান নাগরিকদের সহ্য শক্তির জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।
জাতিসংঘের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে সিরিয়ার সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারের ওপর জোর দেন ওয়াদিল। এছাড়াও মার্কিন জোটের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা ও নিন্দাও করেন তিনি।
মার্কিন জোটকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে তিনি তাদের বিরুদ্ধে সিরিয়ান শহর রাক্কা ধ্বংসের অভিযোগ তোলেন। তার ভাষ্যে, এ অঞ্চল ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল দাবি করে মার্কিন জোট হামলা চালালেও সেখানে নারী, শিশুসহ বহু বেসামরিক লোক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
সিরিয়ার এ সাত বছরের গৃহযুদ্ধে প্রায় ৫০ লাখের মতো মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় নিহত হয়েছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন চার লাখেরও বেশি মানুষ। রাশিয়ার সামরিক সহায়তাপুষ্ট বাশার আল-আসাদের সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির অধিকাংশ অঞ্চলই বিদ্রোহী ও ইসলামিক স্টেটের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করেছে। কিন্তু এখনো ইদলিবে বিদ্রোহীদের অবস্থান রয়েছে বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/