রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে এ গণভোট শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
গণভোটের ব্যালটে লেখা রয়েছে, ‘গ্রিসের সঙ্গে চুক্তি মেনে নিয়ে আপনি কি ন্যাটো ও ইইউ এর সদস্য লাভের পক্ষে?’
বলা হচ্ছে, এ গণভোটের তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে ‘হ্যাঁ’ ভোট বেশি হলে দেশটির সংবিধান পরিবর্তনে সংসদে রাজনৈতিকভাবে আদেশ জারির প্রয়োজন পড়বে।
গণভোটে নাম পরিবর্তন নিয়ে অধিকাংশ ভোট পাওয়ার পর দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্য যদি অনুমোদন দেয় তবেই দেশটির সংসদ এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে।
এর আগে চলতি বছরের জুনে নাম পরিবর্তন নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে গ্রিস ও ম্যাসেডোনিয়া।
১৯৯১ সালে যুগোস্লোভিয়া থেকে স্বাধীন হয় ম্যাসেডোনিয়া। তাদের নাম হয় প্রজাতান্ত্রিক ম্যাসেডোনিয়া। কিন্তু এই নামকরণে মোটেই সন্তুষ্ট নন গ্রিকরা। দেশটির বিপক্ষে ‘ম্যাসেডোনিয়া’ নাম ব্যবহারের দীর্ঘদিনের অভিযোগ করে আসছে তারা। কারণ গ্রিসের একটি প্রদেশের নামও ‘ম্যাসেডোনিয়া’।
স্বাধীনতা পাওয়ার পর ম্যাসেডোনিয়াকে স্বীকৃতিও দেয়নি গ্রিস। তখন থেকেই তাদের সঙ্গে একটা বৈরি সম্পর্ক চলছে। এই বিবাদের অন্যতম কারণ ছিলো দেশটির নাম, কারণ গ্রিসের একটি ঐতিহাসিক নগররাষ্ট্রের নামও ম্যাসেডোনিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এএইচ/আরআর