ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৮
ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসি ট্রাম্প ও সালমান। ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় আরব মিত্র রাষ্ট্র সৌদি আরব নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ‘অকূটনৈতিক বক্তব্যের’ পর সে প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন প্রভাবশালী সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। 

ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আমি তার সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসি। আপনারা জানেন, যে কোনো বন্ধুই ভালো অথবা খারাপ কিছু নিয়ে কথা বলবে।

এটা গ্রহণ করতে হবে।  

শুক্রবার (৫ অক্টোবর) ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন মোহাম্মদ বিন সালমান।  

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপির সাউথহ্যাভেনে এক সমাবেশে সৌদি আরবের ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, আমি সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদকে সতর্কতা দিয়ে বলেছি, মার্কিন সামরিক বাহিনীর সহায়তা ছাড়া সৌদি বাদশাহ ‘দুই সপ্তাহ’ও ক্ষমতায় টিকতে পারবেন না।  

ট্রাম্প তার বক্তব্যে আরও বলেন, আমরা সৌদি আরবকে সুরক্ষা দেই। আপনি কি তাদের ধনী বলবেন? আর আমি ওই বাদশাহকে ভালোবাসি, বাদশাহ সালমান। কিন্তু আমি বাদশাহকে বলেছিও, আমরা আপনাদের সুরক্ষা দেই, আমাদের সহায়তা ছাড়া আপনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের জবাবে সৌদি যুবরাজ সালমান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের থেকে পাওয়া সব রণসজ্জার মূল্য পরিশোধ করা হয়। এটা বিনামূল্যে পাওয়া হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের শুরু থেকেই আমরা সবকিছু অর্থ দিয়ে কিনেছি।  

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম আন্তর্জাতিক সফর সৌদি আরব দিয়েই শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সফর হয়েছিল গতবছর।

সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা দ্য সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, বাদশাহ সালমানের সঙ্গে ট্রাম্প বৈশ্বিক বাজারে তেল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে কথা বলেছিলেন সফরে।  

সৌদি আরব বিশ্বের শীর্ষ তেল রফতারিকারক দেশগুলোর মধ্যে একটি। এছাড়াও তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের অন্যতম নেতৃত্বদানকারীও এ দেশ। তেলের উচ্চমূল্যের জন্য ট্রাম্প এ সংস্থাটির সমালোচনাও করেছেন।

গত মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ওপেক নিয়ে ট্রাম্প বলেন, তারা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করছে।  

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একের পর এক এমন বেফাঁস ও বিব্রতকর মন্তব্য করে বসলেও ওই অঞ্চলে ইসরায়েলের পর সৌদি আরবের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠতা বেশি যুক্তরাষ্ট্রের। পর্যবেক্ষকদের মতে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরানের আধিপত্য বিস্তার ঠেকাতে তাদের আঞ্চলিক বিরোধী সৌদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এই কৌশলী সম্পর্ক রেখে চলেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
এএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।