শনিবার (০৬ অক্টোবর) জাপানের রাজধানী টোকিওতে পা রাখেন পম্পেও। এ সফরে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ অগ্রগতি নিয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
জাপানে অবস্থানকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারা কোনোর সঙ্গে পিয়ংইয়ং নিয়ে আলোচনা করবেন পম্পেও। এরপর তিনি চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা করবেন।
শুক্রবার (০৫ অক্টোবর) জাপানের উদ্দেশে রওয়ানার আগে তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়ে বুঝতে চাই প্রত্যেক পক্ষ সত্যিকার অর্থেই এ অর্জনের জন্য কী করছে। এছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার প্রধান নেতা কিম জং উনের বৈঠকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে আমরা কিভাবে কাজ করতে পারি তাও দেখতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প-কিমের দ্বিতীয় বৈঠকের জন্য স্থান ও সময় নির্ধারণে কাজ করা হবে।
চলতি বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিম উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে একটি চুক্তিতে সম্মত হন। কিন্তু এটি কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে তারা কোনো আলোচনা করেননি।
এর আগে অবশ্য পম্পেওয়ের উত্তর কোরিয়া সফরে তেমন কোনো অগ্রগতিই আসেনি।
এদিকে, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কর্মসূচি স্থগিত ও তিন মার্কিন নাগরিককে জেল থেকে মুক্তি দিলেও পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন বন্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তর কোরিয়ার ওপর ক্ষুব্ধও হন। তিনি মন্তব্য করেন, পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ না করলে আন্তর্জাতিকভাবে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
এএইচ/টিএ