শুক্রবার (১২ অক্টোবর) রাতে মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, তিনি জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন। এখানে কিছু সময় কাটানোর পর শনিবার (১৩ অক্টোবর) ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা করবেন এ যাজক।
এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্রুনসনের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা রয়েছে।
শুক্রবার তুরস্কের একটি আদালত ব্রুনসনকে তিন বছর এক মাস মেয়াদের সাজা দেন। তবে এরইমধ্যে ব্রুনসন আটক থেকে যে সাজা খেটেছেন তার ভিত্তিতে আদালত তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান।
মুক্তি পাওয়ার পরপরই তুরস্কের ইজমির থেকে নিজ দেশের উদ্দেশে রওনা করেন এ যাজক। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, তুরস্ক থেকে ব্রুনসনকে ফিরিয়ে নিতে একটি বিমান প্রস্তুত ছিল। তার স্ত্রীও তার সঙ্গে রওনা দিয়েছেন।
এদিকে ব্রুনসনের মুক্তির আদেশের পর টুইট করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, যাজক ব্রুনসনের জন্য আমার শুভকামনা। আশা করছি তিনি শিগগিরই নিরাপদেই ফিরে আসবেন।
অ্যান্ড্রু ব্রুনসনের আটকের ঘটনায় মার্কিন ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার কূটনৈতিক সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। ২০১৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এ যাজককে আটক করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোগান প্রশাসন। এরপর শুরু হয় পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা। কূটনীতিকের ওপর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি পণ্যেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশ দু’টি। এর ফলে রেকর্ড পরিমাণ দরপতন হয় তুরস্কের মুদ্রা লিরার।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
এএইচ/আরআর