বুধবার (১৭ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হলেও বাড়ছে গরিবের সংখ্যা।
বিশ্বব্যাংকের দ্বি-বার্ষিক এ প্রতিবেদনে বলা হয়, যে দেশগুলো পিছিয়ে পড়া ছিলো সে দেশগুলোতে দারিদ্র্যের ওপর নজর রেখেছে বিশ্বব্যাংক। সম্প্রতি পুরো বিশ্বে ভয়াবহ দারিদ্র্যের নিচে বসবাস করা মানুষের সংখ্যা কমেছে।
যারা দিনে ১ দশমিক ৯০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৬২ টাকার নিচে আয় করেন তাদের ভয়াবহ দরিদ্র হিসেবে গণ্য করে বিশ্বব্যাংক।
দারিদ্র্যের সম্প্রসারিত মানদণ্ড অনুযায়ী প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী গরিবের সংখ্যা এখনও ‘অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বেশি’। বলা হচ্ছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে সব অঞ্চল সমানভাবে লাভবান হচ্ছে না।
২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্বে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে ছয় কোটি ৮০ লাখেরও বেশি। যা থাইল্যান্ড অথবা যুক্তরাজ্যের মোট জনসংখ্যার সমান।
এমন অগ্রগতি স্বত্ত্বেও প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বর্তমান প্রবণতা-সাপেক্ষে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ভয়াবহ দারিদ্র্যের হার তিন শতাংশের নিচে কমিয়ে আনা কঠিন হবে। যা বিশ্বব্যাংকের লক্ষ্য ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন, পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলগুলোতে দারিদ্র্যের হার ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৩৫ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে সাহারা মরুভূমির আশপাশের আফ্রিকান অঞ্চলে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। এ অঞ্চলে ৮৪ দশমিক ৫ শতাংশ দিনে সাড়ে পাঁচ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৪৭০ টাকার নিচে দিন যাপন করেন।
দুই দশক আগে বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষ নিম্ন আয়ের দেশে বাস করতো। ২০১৫ সালে এ হার ৯ শতাংশে কমে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
এএইচ