মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে ডব্লিউএফপি এর সদর দফতর রোমে সংস্থাটির প্রধান ডেভিড বিয়াসলি এ হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, প্রচণ্ড আতঙ্কে রয়েছি, আমরা ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন।
জাতিসংঘের লক্ষ্য ছিল ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়া হবে। কিন্তু তিনটি বাধার কারণে এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। যার মধ্যে রয়েছে- সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, নিম্নমুখী অর্থনীতি।
বিয়াসলি বলেন, ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে প্রতি পাঁচ থেকে দশ সেকেন্ডে একজন শিশু মারা যায়। এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ জরুরি। উৎপাদন প্রক্রিয়া ও রান্নাঘরে খাদ্য অপচয় হচ্ছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান বলেন, এর উত্তর শুধু রোমে নেই বরং আপনার বাড়িতে। আপনি এ ব্যাপারে কী করছেন?
তিনি বলেন, যেখানে প্রতি এক শতাংশে ক্ষুধার হার বাড়ছে, সেখানে দুই শতাংশ হারে অভিবাসী বাড়ছে।
জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর ক্ষুধায় ভুগেছেন ৮২ কোটি ১০ লাখ মানুষ। যা বৈশ্বিক জনসংখ্যার প্রতি নয়জনে একজন।
খাদ্য এবং কৃষি বিষয়ক সংস্থা (এফএও) এর তথ্য অনুসারে, পাঁচ বছরের কম বয়সী সাড়ে ১৫ কোটি শিশু দীর্ঘদিন ধরে অপুষ্টিতে ভুগছে। একইসঙ্গে ৬০ কোটি মানুষ স্থূলকায়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
এএইচ