ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন।
এরইমধ্যে পলাতক বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। ঘটনার পরদিন শনিবার (২০ অক্টোবর) উত্তেজিত জনতা তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে। রোববারও (২১ অক্টোবর) জনতা তাদের বাড়ি ঘিরে রেখেছে।
জিআরপির এফআইআরে ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত খুন), ৩০৪এ (অবহেলায় মৃত্যু) এবং ৩৩৮ (নিরাপত্তায় অবহেলার কারণে মৃত্যু)’র মতো ধারা দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে জিআরপি স্টেশন অফিসার বলভীর সিং জানান, কার দোষে কী হয়েছে সেটা বলার সময় এখনও আসেনি। তদন্ত শুরু হয়েছে। ট্রেন চালকের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কারণ এফআইআরে তার নাম নেই।
পাশাপাশি বিভাগীয় তদন্তের সম্ভবনা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ রেল কর্মকর্তারা মনে করেছেন নিয়ম ভেঙেই রেল লাইনের উপর চলে এসেছিল সবাই।
অমৃতসর পৌরসভার মহাপরিচালক সোনালী গিরি জানান, অনুষ্ঠানের আয়োজকরা পৌরসভা থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি।
এদিকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী নভজ্যোৎ সিং সিধুর পত্নী নভজ্যোৎ কৌর সিধু। তিনি বলেন, এ ঘটনার দায়ভার নিতে হবে রেলের। এতো মানুষ উপস্থিতি জেনেও কেন ট্রেনের গতি কমানো হলো না?
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাবণবধ অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমান অনেক মানুষ। এসময় ভিড়ের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অসংখ্য মানুষের ওপর দিয়ে চলে যায় ট্রেন। এ দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত হয়েছেন অন্তত ৬১ জন। দুর্ঘটনাস্থলে প্রায় ৭০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৮
এপি/আরআর