রোববার (২১ অক্টোবর) মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্সে তিনি এ মন্তব্য করেন। তবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না বলেও মন্তব্য করেন এ কূটনীতিক।
গত ২ অক্টোবর সৌদি কনস্যুলেট থেকে নিখোঁজ হন খাশোগি। শুরু থেকে আঙ্কারা দাবি করে আসছে, সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে রিয়াদ প্রথমে দাবি করেছিল, খাশোগি কনস্যুলেটে কাজ শেষে বেরিয়ে গেছেন। সবশেষ হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে রিয়াদ।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্সকে জুবায়ের বলেন, সেটা ছিল দুবৃর্ত্তদের অভিযান। এতে প্রত্যেকেই তাদের দায়িত্ববোধ ও কর্তব্য অতিক্রম করেছেন। তারা খাশোগিকে হত্যা করে ভুল করেছেন। এরপর তারা এটা সামাল দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন।
খাশোগিকে হত্যা ইস্যুতে তুরস্কের অভিযোগের মুখে বেশ চাপেও পড়েছে বিশ্বের বৃহৎ তেল রফতানিকারক দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিফেন মানচিন বলেছেন, হাতাহাতির ফলে খাশোগি মারা গেছেন সৌদির এমন স্বীকারোক্তি ভালো পদক্ষেপ কিন্তু যথেষ্ট নয়। তবে রিয়াদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আলোচনার ক্ষেত্রে এটা প্রাথমিক বিষয়।
ইউরোপের তিন বৃহৎ শক্তিধর দেশ জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্সও এ ইস্যুতে সৌদিকে বেশ চাপে ফেলেছে। রিয়াদকে স্পষ্ট বক্তব্য দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন তারা।
জার্মান চ্যাঞ্জেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বলেছেন, খাশোগির ব্যাপারে অনিশ্চয়তা না কাটা পর্যন্ত সৌদিতে অস্ত্র রফতানি করবেন না।
এদিকে রোববারে সৌদি প্রেস এজেন্সি বলছে, সৌদি বাদশাহ ও যুবরাজ খাশোগির হত্যার বিষয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। তারা খাশোগিপুত্র সালাহকে ডেকে পাঠিয়েছেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুবায়েরও এ ইস্যুতে শোক প্র্রকাশ করে বলেছেন, দুর্ভাগ্যবশত অনেক বড় ভুল হয়েছে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যারা এর সঙ্গে জড়িত তারা দায়ী হবেন।
তিনি বলেন, খাশোগিকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে বা তার মরদেহ কোথায় রাখা হয়েছে এ বিষয়ে জানি না। সৌদি যুবরাজও এ ব্যাপারে কিছু জানেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
এএইচ/এমএ