লায়ন এয়ারের দুর্ঘটনাটি দেশটির এভিয়েশন ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বিধ্বস্ত প্লেনটি বোয়িংয়ের সর্বাধুনিক মডেলের হওয়া সত্ত্বেও এমন দুর্ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ায় দ্রুত বাড়তে থাকা এভিয়েশন শিল্পের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান সুরজান্তো তাহজানো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আশা করছি শিরগিরই আমরা প্লেনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাবো। উদ্ধার অভিযানে পিঙ্গার লোকেটর, সোনার প্রযুক্তি, ড্রোনের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর থেকে আনা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ককপিটের ভয়েস রেকর্ডার ও ব্লাক বক্সের সন্ধান পেলেই দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে ২০১৫ সালে এয়ার এশিয়ার একটি প্লেন দুর্ঘটনায় অনুসন্ধানকারী দল সমুদ্রতলে এর অবস্থান ও ব্লাক বক্সের অবস্থান জানতে সাইড-স্ক্যান সোনার যন্ত্র ও পিঙ্গার লোকেটর ব্যবহার করে। দুর্ঘটনার সময় প্লেনটিতে ১৫৫ জন আরোহী ছিলেন।
গত সোমবার (২৯ অক্টোবর) লায়ন এয়ারের জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়। এর আগে দেশটির রাজধানী জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স-৮ প্লেনটি নিখোঁজ হয়।
ফ্লাইটটি জাকার্তা থেকে বঙ্গকা বেলুটুং দ্বীপপুঞ্জের প্রধান শহর পাংকল পিনংয়ের উদ্দেশে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে উড্ডয়ন করে। এর ১৩ মিনিট পর অর্থাৎ ৬টা ৩৩ মিনিট থেকেই প্লেনটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। যা মাত্র এক ঘণ্টা পরই ৭টা ২০ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল।
প্লেনটিতে দুই নবজাতক, এক শিশু, দুই পাইলট এবং ছয়জন কেবিন ক্রুসহ ১৮৯ জন আরোহী ছিলেন। বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্লেনের ২৪ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মরদেহগুলো ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তা চিহ্নিত করতে সমস্যা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
জেডএস