শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী সংস্থার প্রধান পেত্রো সাইগ্যকাল বলেন, ‘আজ থেকে ইউক্রেনে বিদেশিদের প্রবেশ সীমিত করা হচ্ছে, প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার ১৬ থেকে ৬০ বছর বয়সী নাগরিকদের ওপর। ’
গত সপ্তাহে ক্রিমিয়ার সমুদ্রসীমায় ইউক্রেনের তিনটি যুদ্ধজাহাজ রুশ নৌবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছায়।
ইউক্রেনের আশঙ্কা, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী যেকোনো সময় সর্বাত্মক আক্রমণ চালাতে পারে রাশিয়ার ওপর। সেজন্য সামরিক আইন জারি, সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত রাখার পদক্ষেপের পর এবার ইউক্রেনে রুশ নাগরিক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।
গত ২৫ নভেম্বর ভোরে ইউক্রেনের ওই তিনটি জাহাজ ক্রিমিয়ার সমুদ্রসীমায় ঢুকে পড়লে রুশ বাহিনীর হাতে আটক হয়। কৃষ্ণসাগরের ওডেশা বন্দর থেকে আজভ সাগরের মারিপোল বন্দরে যাচ্ছিল জাহাজ তিনটি। এ সাগর দু’টিকে সংযুক্ত করেছে কেরচ প্রণালী। আর এই প্রণালীর ওপর নির্মিত সেতু রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে ক্রিমিয়াকে। চলতি বছরের প্রথম দিকে ক্রিমিয়ার অদূরে ইউক্রেন দু’টি রুশ জাহাজ আটক করার প্রেক্ষিতে উত্তেজনার জেরে গত অক্টোবর থেকে ওই প্রণালী ট্যাংকার দিয়ে আটকে রেখেছে রাশিয়া। সেই প্রণালী দিয়ে যাওয়ার সময়ই আটক হতে হয় ইউক্রেনের দু’টি গানবোট ও একটি টাগবোটকে।
রাশিয়ার দাবি, কেরচে ঢুকে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। আর ইউক্রেনের দাবি, রুশ বাহিনী ক্রিমিয়া সীমান্তে তাদের জাহাজে হামলা চালিয়েছে, যেটা প্রকাশ্য আগ্রাসী তৎপরতা।
২০১৪ সালে ইউক্রেনে গৃহযুদ্ধের সময় রাশিয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়। বর্তমানে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সশস্ত্রদল ওই অঞ্চল শাসন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
এইচএ/