ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ওবামাকেয়ার অসাংবিধানিক: মার্কিন আদালত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
ওবামাকেয়ার অসাংবিধানিক: মার্কিন আদালত ওবামাকেয়ার

ঢাকা: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে চালু করা ‘ওবামাকেয়ার’ অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।

টেক্সাসের কেন্দ্রীয় আদালত ২০১০ সালে প্রণীত অ্যাফোরডেবল কেয়ার অ্যাক্ট (এসিএ) এর একটি অংশকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন। আর ওবামাকেয়ারই হচ্ছে সেই অংশ।

চলতি বছর মেয়াদের একদিন বাকি থাকতে শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) আদালত এই রায় দিলেন।
 
২০১০ সালে মার্কিনীদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় চিকিৎসাসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এসিএ পাস করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এর আওতায় হেলথ ইন্সুরেন্স না থাকা মার্কিনীদের কর জরিমানা থেকে মওকুফ করা হয়।

এদিকে, এই আইনের বলে হেলথ ইন্সুরেন্স না থাকা মার্কিনীদের কর মওকুফ পুষিয়ে নিতে গত বছর মার্কিন কংগ্রেসে দেড় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিল পাস করা হয়।

রায় দিয়ে টেক্সাসের জেলা জজ রিড ও’কনর বলেছেন, আইনের ‘ব্যক্তিগত’ দায়মুক্তির বিষয়টি অসাংবিধানিক। আর ব্যক্তিগত দায়মুক্তিই যেহেতু ওবামাকেয়ারের মূল ভিত্তি, সেহেতু ওবামা কেয়ার পুরোটাই অসাংবিধানিক। রায়ের পর্যালোচনায় রিড ও’কন লিখেন, আগের প্রশাসন এসিএ প্রণয়ন করেছিল। আর পরের প্রশাসন এটির দাঁড়িয়ে থাকা শেষ পা কেটে ফেলে।  

এই রায়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬-তে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ওবামাকেয়ারের বিরোধিতা করে আসছিলেন তিনি। টুইট বার্তায় ট্রাম্প এই রায়কে ‘আমেরিকার জন্য দারুণ সংবাদ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

আদালত অসাংবিধানিক বললেও এখনই কার্যকারিতা হারাচ্ছে না ওবামাকেয়ার। বিষয়টির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতেই হবে। তার আগ পর্যন্ত এই আইনের বিধিমালা কার্যকর থাকবে বলে জানান হোয়াইট হাউস মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স।

তবে এই আইন শেষ পর্যন্ত বাতিল হলে তার ফলাফল ‘ভয়াবহ’ হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর চাক স্কামার বলেন, যদি এই আতঙ্কজনক রায় সর্বোচ্চ আদালতেও বহাল থাকে, তাহলে তা কোটি কোটি মার্কিন পরিবারের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
এসএইচএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।