গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফলের বিরুদ্ধে আবেদনকারী ফায়ুলুর অভিযোগ, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট কাবিলার সঙ্গে ‘বোঝাপড়া’ করে কারচুপির মাধ্যমে ভোটে জিতেছেন শিকেদি। সেজন্য আদালতের রায় সত্ত্বেও নিজেকেই ‘বৈধ’ প্রেসিডেন্ট দাবি করছেন ফায়ুলু।
আদালতে আপিলের আগে ফায়ুলু ভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফল গ্রহণ না করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। যদিও তার পক্ষ নিয়েই আফ্রিকার দেশগুলোর জোট আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ) গত শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) বলেছে, নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ‘গুরুতর সন্দেহ’ আছে।
আদালতের রায়ে বলা হয়, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনলেও নির্বাচন কমিশন যে ভুল ফলাফল প্রকাশ করেছে, তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে ফায়ুলু। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে ফেলিক্স শিকেদিই গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট।
সহিংসতা ও নানা অভিযোগের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, শিকেদি ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফায়ুলু পেয়েছেন ৩৪ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট।
পরাজিত ফায়ুলুর অভিযোগ, ১৮ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট পদে থাকা কাবিলার সঙ্গে ক্ষমতা-ভাগাভাগির অনৈতিক বোঝাপড়া করে সুবিধা নিয়েছেন শিকেদি।
সাংবিধানিকভাবে তৃতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়াতে না পারা কাবিলা তার অনুগত শিকেদিকে ক্ষমতায় বসাতে কারচুপি করেছেন বলে অভিযোগ ফায়ুলু সমর্থকদের।
সব কিছু ঠিক থাকলে ১০ দিনের মধ্যেই শপথ নেওয়ার কথা ‘নির্বাচিত’ প্রেসিডেন্ট শিকেদির।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
এইচএ/