ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গুয়াইদো’র ভেনেজুয়েলা ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
গুয়াইদো’র ভেনেজুয়েলা ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিকোলাস মাদুরো-জুয়ান গুয়াইদো

ভেনেজুয়েলার প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা এবং নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট দাবি করা জুয়ান গুয়াইদোর দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির সরকার। একইসঙ্গে ক্রোক করা হয়েছে দেশে থাকা তার সব সম্পত্তি।

মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে জুয়ানের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত আদেশ জারি করা হয়।  

অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক উইলিয়াম সাব এর অফিস থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, সংঘর্ষের ঘটনা এবং বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে এটা প্রতীয়মান হয় যে, দেশে সাংবিধানিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে গুরুতর আঘাত হানা হয়েছে।

আর এর জন্য জুয়ান গুয়াইদোকে দায়ী উল্লেখ করে বিবৃতিতে তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগ ও সম্পত্তি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়।  

গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরোধিতা করে নিজেকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন গুয়াইদো। জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে বলছে, ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়া সরকারপন্থী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গুয়াইদো সমর্থকদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক আন্দোলনকারী।  

এদিকে সোমবার (২৮ জানুয়ারি) নিজের দাবির প্রতি জোর দিয়ে বিবিসিকে জুয়ান গুয়াইদো বলেন, রাষ্ট্রপতি যখন অবৈধ হয়ে যান তখন সংসদের প্রধান হিসেবে সংবিধান আমাকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষমতা দেয়। এসময় মাদুরোর শাসনকে ‘একনায়কতন্ত্র’ উল্লেখ করে গুয়াইদো বলেন, আমার দায়িত্ব হচ্ছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। কারণ আইনের লঙ্ঘন করা হয়েছে। আর আমরা একনায়কতন্ত্রে বাস করছি।  

মাদুরো প্রশাসন সড়কে তরুণ ও অসহায় নাগরিকদের হত্যা করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।  

প্রসঙ্গত, চলতি মাসে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভেনেজুয়েলায় মাদুরোর বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়তে থাকে। অভিযোগ আছে যে, গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী নেতাকে জেলে বন্দি রাখার মাধ্যমে নির্বাচনে একরকম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতেন  নিকোলাস মাদুরো। এরইমধ্যে গুয়াইদোর নিজেকে প্রেসিডেন্ট দাবি করার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলো। তবে রাশিয়া, চীন, মেক্সিকো এবং তুরস্ক মাদুরোর প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এসএইচএস/আরআর   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।