ব্যাপারটি নিশ্চিত করে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেনেডটি একটি বাসের নিচে রাখা ছিল। আহতদের বেশিরভাগই চালক এবং চালকের সহকারী।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস’কে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা মানিশ কুমার সিনহা বলেন, বাসটি যখন স্ট্যান্ডে রাখা ছিল তখনই সেখানে বোমাটি রেখে দেওয়া হয়েছিল। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি ছেড়ে গেলে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
তিনি বলেন, ঘটনাটির তদন্তে কাজ করছে পুলিশ। আমরা ঘটনাস্থল থেকে সব ধরনের প্রমাণ ও তথ্য সংগ্রহ করছি। সেগুলোর সূত্র ধরেই তদন্ত কাজ চালানো হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম গাড়ির চাকা বিস্ফোরিত হয়ে বিকট শব্দ হয়েছে। পরবর্তীতে গ্রেনেডের কথা জেনেছি। ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।
২০১৮ সালের মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত একই বাসস্ট্যান্ডে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটলো।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভারতের বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী সিআরপিএফের গাড়িবহরে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের হামলায় ৪৪ জওয়ান নিহত হন।
জঙ্গিদের মদদ দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে এর মোক্ষম জবাব দিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে পাকিস্তানের বালাকোট শহরে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের আস্তানায় হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী। এর একদিন পরই ভারতের দু’টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করে পাকিস্তান। গত ১ মার্চ রাত পৌনে ১০টা নাগাদ প্রায় ৫৮ ঘণ্টা পর ভারতের আটক পাইলটকে ফিরিয়ে দেয় পাকিস্তান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৯
এসএ/আরআর