শনিবার (১৬ মার্চ) দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পাশ্ববর্তী দেশ মোজাম্বিক ও মালাওয়িতে শুরু হওয়া এ ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার (১৫ মার্চ) জিম্বাবুয়েতে আঘাত হানে।
এক টুইটার বার্তায় দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ঘূর্ণিঝড়ে দুই শিক্ষর্থীসহ ২৪ জন নিহত হয়েছেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৪০ জন। হতাহতদের বেশিরভাগই পূর্ব চিমানিমানি শহরের।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে চিমানিমানি শহরের সংসদ সদস্য জশুয়া স্যাকো বলেছেন, এ ঘূর্ণিঝড়টি দেশটিতে ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের মতই ভয়াবহ ও ধ্বংসাত্মক।
সেই সঙ্গে চলমান এ দুর্যোগে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন স্যাকো।
জিম্বাবুয়ের তথ্য মন্ত্রণালয় বরছে, ঘূর্ণিঝড়ে মোজাম্বিকের সীমান্তবর্তী শহর চিমানিমানি শহরে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে শস্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে স্থানীয়দের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটির বিমান বাহিনী। তবে প্রবল বাতাসের কারণে তাদের উদ্ধার কার্যক্রমে ব্যাহত হচ্ছে। পুরো সপ্তাহজুড়েই বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২০১৯ সালেই তীব্র খরার কারণে জিম্বাবুয়েতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। নতুন করে এ দুর্যোগের কারণে খাদ্য সঙ্কট দেখা দেয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, এ দুর্যোগে ২০১৯ সালে ৫.৩ মিলিয়ন মানুষের খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
এসএ/এমএ