এর মধ্যে আফ্রিকার স্থলবেষ্টিত দেশ জিম্বাবুয়েতে ঘূর্ণিঝড় ‘ইদাই’ এর আঘাতে প্রায় ৯৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারের মন্ত্রী জুলি মোয়ো। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পাশ্ববর্তী দেশ মোজাম্বিক ও মালাওয়িতে শুরু হওয়া এ ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার (১৫ মার্চ) জিম্বাবুয়েতে আঘাত হানে। চলমান এ ঘূর্ণিঝড়ে দেশটিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি ও ব্রিজ-কালভার্ট।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মিনানগাগওয়া। বুধবার (২০ মার্চ) হ্যালিকপ্টারে করে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া অন্যান্য স্থানগুলোও পরিদর্শন করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সেসময় দেশটিতে চলমান এ সংকট মোকাবেলায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ আফ্রিকা, বোতসওয়ানা, নামিবিয়া, তানজানিয়া ও অ্যাঙ্গোলা ত্রাণ সহায়তা দিতে চেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট এমারসন।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়টিতে সৃষ্টি হওয়া বন্যায় মালাওয়িতে ৫৬ জনের প্রাণহানি এবং ৫৭৭ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ।
চলমান এ দুর্যোগে সেখানকার বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি নিসানজে শহরের দাক্ষিণাঞ্চলে ঘরহারা হয়েছে প্রায় ১১ হাজার পরিবার।
ঘূর্ণিঝড় ইদাইয়ের আঘাতে পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক, মালাওয়ি ও জিম্বাবুয়েতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আঘাতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে প্রায় ৩৫০ জনের। এতে নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকশো মানুষ। আর এখনও ঝুঁকির সম্মুখে রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দেশগুলোর চলমান সংকট মোকাবেলায় দেশটির জন্য ২০ মিলিয়্ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ করেছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেনও সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এসএ/এমজেএফ