মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী রিয়াদ, মুসলমানদের পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনা, সংখ্যালঘু শিয়াদের বসতিপূর্ণ কাসিম প্রদেশ ও পূর্ব প্রদেশে এসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী চলছে সমালোচনা।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাজাপ্রাপ্তরা দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা স্থাপনায় হামলা, নিরাপত্তা কর্মীদের হত্যা এবং দেশের ‘শত্রু’ সংগঠনগুলোকে সহযোগিতার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
পরে রিয়াদের বিশেষ অপরাধ আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা (এসপিএ) বলছে, সন্ত্রাসী বা চরমপন্থী নীতি অবলম্বন এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন এসব আসামি।
সৌদিতে সাধারণত গুলি অথবা জবাই করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অপরাধের মাত্রা হিসেবে তা অনেক ক্ষেত্রে জনসম্মুখেও কার্যকর হয়ে থাকে। তবে মঙ্গলবার এসব আসামির মৃত্যু কীভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে, তা জানানো হয়নি।
এদিন, ঐতিহ্যগতভাবে জোহরের নামাজের পর ৩৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনের মরদেহ খোলা জায়গায় প্রায় তিন ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখা হয়। জনগণকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করার উদ্দেশে এমনটা করা হয়েছে বলা হলেও বিশ্বব্যাপী এই ‘ভয়ঙ্কর দৃশ্য’ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এসপিএ’র তথ্যমতে, চলতি বছরে দণ্ডপ্রাপ্ত অন্তত ১০০ আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব।
সৌদি আরবের এমন কঠোর সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গণহারে মৃত্যুদণ্ড মানবজাতির জন্য অবমাননাকর উল্লেখ করে সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষণা পরিচালক লিন ম্যালৌফ বলেন, এটি ভিন্ন মতাবলম্বী শিয়া মুসলমানদের দমনের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
একে/টিএ