তাছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে জরুরী সতর্কতা হিসেবে ইতোমধ্যে ১ হাজারের বেশি গর্ভবতী নারীদেরকে উপকূল অঞ্চলের হাসপাতালগুলো থেকে সরিয়ে নিরাপদ হাসপাতালগুলোতে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) উড়িষ্যার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সূত্রে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি খবরটি প্রকাশ করেছে।
উড়িষ্যা প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা সংগ্রাম মহাপাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে জানিয়েছে, আগামীকাল শুক্রবার (০৩ মে) বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতের উড়িষ্যা প্রদেশে আঘাত হানতে পারে। এর আগে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। আগামীকাল সকল শিক্ষা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
এছাড়া উড়িষ্যার পূর্ব উপকূলবর্তী অঞ্চলে যে সকল গর্ভবতী নারীরা গুরুতর অবস্থায় রয়েছে তাদেরকে আগাম সতর্কতাস্বরূপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদেরকে এখন নিকটবর্তী নিরাপদ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এরকম প্রায় ১ হাজারেরও অধিক নারীদেরকে জরুরী ভিত্তিতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
প্রদেশটির কর্মকর্তাদের সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে এনডিটিভি।
কর্মকর্তারা আরও বলছেন, ‘ফণী’র জন্য ঝুকিপূর্ণ উপকূল এলাকা কেন্দ্রপাড়াতেই গুরুতর অবস্থায় ৬৩১ জন গর্ভবতী নারীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। রাতের ভেতরে তাদেরকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এদিকে ফণী উপকূলে পৌঁছানোর আগেই সাড়ে ১১ লাখ মানুষকে উড়িষ্যা উপকূল থেকে সরিয়ে নেয়া নিচ্ছে ভারত সরকার। এছাড়া ব্যপক প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটির নৌবাহিনী। ঘূর্ণিঝড় শেষে উদ্ধারাভিযান পরিচালনার জন্য নৌবাহিনীর ৩ টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে উড়িষ্যা উপকূলে। জাহাজ ৩ টি হলো – সাহইয়াদ্রি, রনভীর ও কাদমাত। উদ্ধারাভিযান ছাড়াও প্রস্তুতকৃত রিলিফ ও প্রাথমিক চিকিৎসার দলও থাকবে এই জাহাজে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন ডি কে শরমা বলেন, জাহাজ ছাড়াও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে। রিলিফ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য চিকিৎসকরাও এই হেলিকপ্টারে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এমএএম/এমএমএস