ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রোডশোতে ‘দলীয় কর্মীর’ চড় খেলেন কেজরিওয়াল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৯
রোডশোতে ‘দলীয় কর্মীর’ চড় খেলেন কেজরিওয়াল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ওপর হামলা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে হামলার শিকার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। খোলা জিপে চড়ে রোডশো’ করার সময় কেজরিওয়ালের গালে সপাটে চড় বসিয়ে দিয়েছেন তার দলেরই এক কর্মী।

গত শনিবার (৩ মে) দিল্লির মতিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই মুহূর্তের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সেদিন মতিনগরে খোলা জিপে চড়ে নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নেন আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। প্রচারণার একপর্যায়ে আচমকা এক যুবক গাড়ির সামনে উঠে কেজরিওয়ালকে চড় মারেন।

সঙ্গে সঙ্গে দলের নেতাকর্মীরা হামলাকারী যুবককে টেনে নামায় ও গণপিটুনি দেয়। পরে সেখান থেকে যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

৩৩ বছর বয়সী ওই হামলাকারীর নাম সুরেশ। তিনি খুচরা যন্ত্রাংশের ব্যবসা করেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, এ হামলার জন্য কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে দায়ী করেছে কেজরিওয়ালের দল এএপি।

দলটির সংসদ সদস্য সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, বিজেপি বুঝতে পেরেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সরানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে শারীরিকভাবে আঘাত করা।

এ ঘটনায় দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া অভিযোগের তীর ছুড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহের দিকে।

টুইটারের এক বার্তায় তিনি লিখেছেন, মোদী আর অমিত শাহ কি কেজরিওয়ালকে খুন করাতে চান? গত পাঁচ বছরে তারা তার (কেজরিওয়াল) পণ ভাঙতে পারেননি, তাকে নির্বাচনে হারাতে পারেননি। এখন কাপুরুষের মতো তাকে সরিয়ে দিতে চান? এ কেজরিওয়ালই আপনাদের শেষ করবেন।

এ হামলাকে ‘বিরোধীদের মদদপুষ্ট’ মন্তব্য করে টুইটারে এএপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নিরাপত্তা ঘাটতির আরেকটা নজির। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রোডশো চলাকালে হামলার শিকার হয়েছেন। আমরা কাপুরুষোচিত এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। বিরোধীদের মদদপুষ্ট এ হামলা দিল্লিতে আম আদমি পার্টিকে দমাতে পারবে না।  

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসও এ হামলার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছে।  

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী সুরেশ এএপির সমর্থক ছিলেন। তিনি কিভাবে কেজরিওয়ালের কাছে পৌঁছালেন তা তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি কাজ করছে।

দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত পিআরও অনিল মিত্তাল জানান, সাম্প্রতিক সময়ে এএপি নেতাদের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ ছিলেন সুরেশ। সশস্ত্র বাহিনীর ওপর পার্টির অবিশ্বাস তার ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দেয়।  

তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সুরেশ এএপির টুপি ও স্কার্ফ পরে মুখ্যমন্ত্রীর অভ্যর্থনা দলে যোগ দেন। এএপির সংগঠক হওয়ায় কেউ তাকে বাধা দেয়নি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ তিনি স্কার্ফ খুলে গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন ও মুখ্যমন্ত্রীকে আঘাত করেন।  

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথমবার নয়। গত বছর রাজধানীর অন্যতম সুরক্ষিত ভবন দিল্লি সচিবালয়ের ভেতরেই হামলার শিকার হন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরে একব্যক্তি কেজরিওয়ালের মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
একে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।