গত মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পর একেপির অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে সোমবার (৬ মে) এই ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন।
গত ৩১ মার্চ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাসহ বড় শহরগুলোতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ইস্তাম্বুলের ফলাফলে একেপির মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে বিজয়ী সিএইচপির প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান একেবারেই সামান্য দেখা যায়। এখানকার ভোটে অনেক সরকারি কর্মকর্তা একটি দলের হয়ে কাজ করেছে বলে অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে একেপি।
নির্বাচন কমিশনে একেপির প্রতিনিধি রিসেপ ওজেল বলেন, পুনরায় ভোটগ্রহণে আমাদের দাবির কারণ হচ্ছে যে, বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সরকারি কর্মকর্তারা ‘কাজ’ করেছিলেন এবং ফলাফলের কিছু কাগজে যথাযথ কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ছিল না।
তবে কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে বিরোধী নেতারা। সিএইচপি’র উপ-প্রধান অনুরসাল আদিগুজেল এই সিদ্ধান্তকে ‘সোজাসুজি একনায়কতন্ত্র’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, সাধারণ জনগণের সিদ্ধান্ত এবং আইনকে যে সিদ্ধান্ত লঙ্ঘিত করে সেটি গণতন্ত্রও নয়; বৈধও নয়। এমন সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে, একেপির বিরুদ্ধে জয় পাওয়াই মনে হয় অবৈধ।
পুনর্নির্বাচন ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছেন ইস্তাম্বুলে মেয়র পদে সদ্যনির্বাচিত প্রার্থী একরেম ইমামোগলু। গত এপ্রিলেই নতুন মেয়র হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছিল একরেমের। কিন্তু পুনর্ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তার মেয়র পদও বাতিল করা হয়েছে।
পুনর্ভোটের সিদ্ধান্ত একেপির প্রভাবে নেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা কখনো আমাদের আদর্শের সাথে সমঝোতা করব না। এই দেশে ৮২ মিলিয়ন দেশপ্রেমিক আছে যারা লড়াই করবে...গণতন্ত্র অর্জনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৩ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
এসএইচএস/এইচএ/