ভাবছেন, এমন কী বিশেষত্ব আছে ওই পরিবারের? হ্যাঁ, অবাক করার মতো হলেও সত্য, ওই একটি পরিবারেই ভোটার ৬৬ জন।
রাজ্যের আল্লাহাবাদের বাহরাইচা গ্রামের ‘বিখ্যাত’ পরিবারটির কর্তার নাম রাম নরেশ ভুর্তিয়া, বয়স ৯৮ বছর।
তিনি জানান, ৮২ সদস্যের পরিবারে ভোটার আছেন ৬৬ জন। এরমধ্যে তার নাতি-নাতনির আট ছেলে-মেয়ে প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, পরিবারটির প্রধান পেশা কৃষিকাজ হলেও প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছেন দু’জন। সবাই আর্থিকভাবে বেশ স্বচ্ছল।
রাম নরেশ গর্ব করে বলেন, গোটা পরিবারের জন্য মাত্র একটাই রান্নাঘর। প্রতিদিন অন্তত ২০ কেজি সবজি, ১৫ কেজি চাল ও ১০ কেজি গম রান্না করা হয়। রান্নাবান্নার কাজটা পরিবারের নারী সদস্যরাই করেন।
তিনি বলেন, আমি খুবই খুশি। আজ পর্যন্ত একজনও বলেনি, সে আলাদা থাকতে চায়। ঐক্যবদ্ধ থাকার উদাহরণ হিসেবে দেশের মানুষ আমাদের আদর্শ মানতে পারে।
‘আমরা সবাই একই কেন্দ্রের ভোটার। সাধারণত দুপুরের পর একসঙ্গে ভোট দিতে যাই। কারণ তখন ভিড় কম থাকে। কেন্দ্রের পোলিং অফিসাররাও চেনে। ’
ভাবতে পারেন, এত বড় পরিবার ভোট দিতে গেলে তো বাস ভাড়া করার কথা!
তবে কর্তা জানান, তাদের এত বিলাসিতা নেই। পরিবারের মুরুব্বিরা সাইকেলে, বাকিরা হেঁটেই ভোট দিতে যান।
তারা থাকেনও খড় ও মাটির তৈরি কুঁড়েঘরে। পাকা ঘর তৈরির পরিকল্পনা থাকলেও তাতে বাধ সেঁধেছে ঘরের উপরে হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের তার। এ নিয়ে প্রার্থীদের ওপর যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে তাদের।
পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সদস্য শংকর বলেন, প্রতিবার নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দেন, তারগুলো সরিয়ে ফেলা হবে। কিন্তু ভোটের পর আর কেউ ফিরে আসেন না। এ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
‘এবারও প্রার্থীদের বলেছি, সমস্যার সমাধান করে দিতে। যথারীতি তারা আশ্বাসও দিয়েছেন। তবে, পরেরবার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কেউ ভোট দিতে যাবো না। ’
কর্তা রাম নরেশ বলেন, পরিবারের মেয়েদের জন্য আলাদা ঘর দরকার। কিন্তু বিদ্যুতের তারের কারণে বাড়ি বানানোর কাজ শুরুও করতে পারছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
একে